ডেটিং অ্যাপে সুন্দরী নারীর হাতছানি! গাজিয়াবাদের অন্ধকার হুক্কা বারে যুবকের সাথে যা ঘটল, জানলে শিউরে উঠবেন।

অনলাইন ডেটিংয়ের নেশা বর্তমানে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, তার এক জলজ্যান্ত উদাহরণ সামনে এল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। নতুন শহরে এসে নিঃসঙ্গতা কাটাতে টিন্ডার অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেই অ্যাপই যে তাঁকে অপরাধের এক সুড়ঙ্গে পৌঁছে দেবে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। রেডডিট প্ল্যাটফর্মে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে নেটপাড়াকে সতর্ক করেছেন ওই যুবক।
সাক্ষীর সাথে আলাপ এবং অদ্ভুত জেদ রেডডিট ইউজার @VariationLumpy2964 জানিয়েছেন, গাজিয়াবাদে নতুন আসার পর টিন্ডারের মাধ্যমে ‘সাক্ষী’ নামে এক তরুণীর সাথে তাঁর আলাপ হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাক্ষী তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেয় এবং দেখা করার জন্য প্রচণ্ড চাপ দিতে থাকে। সাক্ষী বারবার রাজ নগর এলাকায় দেখা করার জন্য জেদ করছিল। প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও, দেখা করার দিন সাক্ষীর আচরণে সন্দেহ জাগে ওই যুবকের।
অন্ধকার হুক্কা বার এবং ‘বিল স্ক্যাম’-এর ফাঁদ রাজ নগরে দেখা হওয়ার পর সাক্ষী ওই যুবককে একটি নির্জন ভবনের ভূগর্ভস্থ হুক্কা বারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভেতরে প্রবেশ করতেই যুবকের ষষ্ঠেন্দ্রিয় তাঁকে সতর্ক করে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন সেই পরিবেশ দেখে তাঁর মনে পড়ে যায় সাম্প্রতিক ‘ডেটিং বিল স্ক্যাম’-এর কথা, যেখানে অ্যাপের মাধ্যমে ডেকে এনে হাজার হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়। যুবকটি তৎক্ষণাৎ সেখানে বসতে অস্বীকার করেন এবং ম্যাকডোনাল্ডসের মতো কোনো ভিড় এলাকায় যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
মেয়েটির আসল রূপ এবং রক্ষা অন্য জায়গায় যাওয়ার কথা বলতেই সাক্ষীর ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন আসে। সে রেগে যায় এবং তর্কে জড়িয়ে পড়ে। যুবকটি নিশ্চিত হন যে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ফাঁদ। তিনি আর সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন। পরে মেয়েটি নানা অজুহাত দিলেও যুবকটি আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি। তাঁর এই পোস্ট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা প্রমাণ করে যে ডেটিং অ্যাপে অপরিচিত কারো ওপর অন্ধ বিশ্বাস কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।