অফিস কর্মীদের প্রথম পছন্দ এখন ‘জিরো ব্যালেন্স’! মিনিমাম ব্যালেন্সের চাপ থেকে মুক্তির নতুন দিশা

আজকের ইঁদুর দৌড়ের জীবনে সময় যেন সোনার হরিণ। সকালের ব্যস্ততা থেকে অফিসের ডেডলাইন—ব্যক্তিগত কাজ করার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ‘মিনিমাম ব্যালেন্স’ বজায় রাখার দুশ্চিন্তা অনেক সময় মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। সামান্য ব্যালেন্স কমলেই ব্যাঙ্ক থেকে জরিমানার খাঁড়া নেমে আসে। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হিসেবে দেশজুড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট’।
কেন এটি কর্মব্যস্ত মানুষদের সেরা পছন্দ? একটি সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টে মাসে গড়ে একটি নির্দিষ্ট টাকা রাখতে হয়, কিন্তু জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টে আপনার টাকা শূন্য হয়ে গেলেও ব্যাঙ্ক কোনো পেনাল্টি নেবে না। এটি ফ্রিল্যান্সার, গিগ ওয়ার্কার বা বেতনভোগী কর্মচারী—সবার জন্যই অত্যন্ত সুবিধাজনক। মাসের শেষে যখন খরচ বেশি হয়, তখন ব্যালেন্স কম থাকলেও আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ ২০২৫ সালের আধুনিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ব্যাঙ্ক যাওয়ার দিন ফুরিয়েছে। আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ভিডিও কেওয়াইসি (Video KYC)-এর মাধ্যমে মাত্র ৫ মিনিটে মোবাইল থেকেই এই অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব। এর সাথে পাওয়া যায় ফ্রি ডেবিট কার্ড, ইউপিআই (UPI) সুবিধা এবং আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক অফার। অনেক ব্যাঙ্ক বর্তমানে সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৭.২৫% পর্যন্ত বার্ষিক সুদও দিচ্ছে।
এক দশকে ভারতের ব্যাঙ্কিং বিপ্লব সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১ সালে যেখানে মাত্র ৩৫% ভারতীয়র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯০%-এ পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার হাত ধরে দেশে ৫৬ কোটিরও বেশি জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করেছে।