‘খ্রিষ্টান নিগ্রহ’? বিপাকে বিজেপি, ড্যামেজ কন্ট্রোলে চার্চে পৌঁছলেন PM মোদী!

বড়দিনের উৎসবের মাঝেই চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার একের পর এক অভিযোগ এবং ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। একদিকে যখন বজরং দলের বিরুদ্ধে সান্তার টুপি বা ক্রিসমাস ট্রি বিক্রির দোকানে হামলার অভিযোগ উঠছে, অন্যদিকে তখন রাতারাতি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে দেখা গেল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির ক্যাথিড্রাল চার্চে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, তাঁর আগে থেকে নির্ধারিত কর্মসূচিতে চার্চ সফর ছিল না। কিন্তু সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাওয়ায় শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বদল করে চার্চে পৌঁছান তিনি। একই পথে হেঁটে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাও পৌঁছে যান একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে। বিজেপি ও সরকারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড়দিনের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যায়।

তবে বিরোধীরা এই অতি-সক্রিয়তাকে স্রেফ ‘লোক দেখানো’ বলেই কটাক্ষ করছেন। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে বিজেপি নেত্রী অঞ্জলি ভার্গবকে এক দৃষ্টিশক্তিহীন খ্রিস্টান মহিলাকে নিগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া ওডিশা, উত্তরপ্রদেশ, অসম ও ভোপালে বজরং দলের তাণ্ডবের ঘটনাও সামনে এসেছে। এই আবহে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রধানমন্ত্রীর চার্চ সফরের ছবি শেয়ার করে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “ভালোবাসা? শান্তি? করুণা? সম্প্রীতি? শুভেচ্ছা? ক্রিসমাস?” তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।

পরিসংখ্যান তুলে বিরোধীদের দাবি, গত ১১ বছরে মোদী জমানায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন কেবল ‘ব্র্যান্ড মোদী’ রক্ষা করতেই এই মেকি ড্যামেজ কন্ট্রোল করা হচ্ছে।