“অন্ধকার ঘুচুক, জেগে উঠুক বাংলাদেশ”, বড়দিনের বার্তায় ইউনূস সরকারকে তুলোধোনা শেখ হাসিনার!

বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইস্যুতে এবার সরাসরি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া এক বিশেষ বার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছে এবং অ-মুসলিমদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার চালাচ্ছে।

গত সপ্তাহে হিন্দু যুবক দিপু দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, “বর্তমানে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে, তারা সংখ্যালঘুদের পুড়িয়ে মারার মতো ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করছে। অ-মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।” ৭৮ বছর বয়সী এই নেত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানান, বাংলাদেশের মানুষ এই অন্ধকার সময় আর বেশিদিন মুখ বুজে সহ্য করবে না। সোমবারই ঢাকায় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো তাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ করেছে, যা হাসিনার অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছাবার্তায় শেখ হাসিনা হিন্দু-খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের আহ্বান জানান। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দেশের মৌলিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো দেখছে কীভাবে আমাদের গড়ে তোলা সব কিছু ধ্বংস করা হচ্ছে।” যদিও দিপু দাসের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সব দায়ভার নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, তবুও হাসিনার মতে—ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আজ চরম সংকটে।