সমুদ্রের ২০ ফুট নিচে ভরতনাট্যম! ১১ বছরের বালিকার এই কাণ্ড দেখে থমকে গেল বিশ্ব, নেপথ্যে বড় কারণ!

নৃত্য পরিবেশনের জন্য সাধারণত প্রয়োজন হয় এক টুকরো সমান মঞ্চ আর দর্শকদের করতাল। কিন্তু ১১ বছরের থারাগাই আরাথানার কাছে গোটা সমুদ্রটাই একটা স্টেজ। তবে এই মঞ্চ এবড়ো-খেবড়ো, পাথুরে আর বিপদসংকুল। পুদুচেরির এই বাসিন্দা সম্প্রতি সমুদ্রের ২০ ফুট গভীরে নেমে ভরতনাট্যম পরিবেশন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে। কিন্তু কেন এই অসাধ্য সাধন? কেবল কি জনপ্রিয়তার জন্য? উত্তরটা কিন্তু অত্যন্ত মহৎ।
আরাথানা কেবল নাচের জন্য জলের তলায় নামেনি। তার প্রতিটি মুদ্রার আড়ালে লুকিয়ে ছিল সমুদ্র বাঁচানোর এক জোরালো আর্তি। ভরতনাট্যমের চিরাচরিত পোশাক, ভারী গয়না আর নিখুঁত সাজে সে যখন সমুদ্রের নীল গভীরে নৃত্যরত, তখন তার লক্ষ্য ছিল বিশ্ববাসীর নজর সামুদ্রিক দূষণের দিকে ঘোরানো। বর্তমানে সমুদ্রের তলদেশে জমছে প্লাস্টিকের পাহাড়। মানুষের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক খাবার ভেবে খেয়ে ফেলছে সামুদ্রিক প্রাণীরা, যার ফলে নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য।
এই খুদে যোদ্ধা বুঝিয়ে দিয়েছে, সমুদ্রকে প্লাস্টিকমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। সমুদ্রের গভীরে অক্সিজেনের অভাব আর জলের চাপের মধ্যে তার এই পারফরম্যান্স সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝোড়ো গতিতে ভাইরাল হয়েছে। সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত করার এই অভিনব উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছে তামাম দুনিয়া। আরাথানার এই নাচ কেবল শিল্প নয়, বরং আগামীর জন্য এক সাবধানবাণী।