বিচারব্যবস্থার নয়া নজির! বাইক চুরির অভিযোগে ২ বছরের কারাদণ্ড, রাজস্থান পুলিশের স্পিড দেখে তাজ্জব আইনমহল

যে দেশে একটি মামলা বছরের পর বছর আদালতের ফাইলে ধুলো মাখে, সেখানে মাত্র ৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে অপরাধীকে জেল পাঠিয়ে নজির গড়ল রাজস্থান। কোটপুতলি-বেহরোর জেলার একটি চুরির মামলায় অভিযুক্তকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫,০০০ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। বিচারব্যবস্থার এই গতি দেখে আমজনতা থেকে শুরু করে আইন বিশেষজ্ঞরা—সবাই কার্যত স্তম্ভিত।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, যখন পানিয়ালা থানার পুলিশ খেয়ালি রামের বাইক চুরির অভিযোগে বিল্লু ওরফে সাতভীরকে গ্রেফতার করে। এরপরই শুরু হয় পুলিশের ঝোড়ো ব্যাটিং। ১৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। ২০ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন, ২২ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং ২৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারক সিমরান কৌর। নতুন ফৌজদারি আইন (BNS)-এর সঠিক প্রয়োগ এবং হেড কনস্টেবল দেবেন্দ্র কুমারের সংগৃহীত ইলেকট্রনিক প্রমাণ এই দ্রুত বিচারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
এসপি দেবেন্দ্র বিষ্ণোই জানিয়েছেন, পুলিশ ও বিচারবিভাগের যৌথ কৌশলের কারণেই এই সাফল্য। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল যে, চুরির মামলায় অভিযুক্তদের চার্জশিটের সঙ্গেই আদালতে পেশ করা হবে যাতে বিচার দ্রুত শেষ হয়। রাজস্থানে এই প্রথম কোনো অপরাধীকে এত কম সময়ে সাজা দেওয়া হলো। এই রায় স্পষ্ট বার্তা দিল—অপরাধ করলে আর পার পাওয়ার সুযোগ নেই, শাস্তি মিলবে হাতেনাতে।