প্রেমের জয়গান মাহোবায়! ৩ বছরের প্রেম শেষে হেমা হলেন ‘হেমন্ত’, দুই তরুণীর বিয়ে দেখতে উপচে পড়া ভিড়

উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলায় এক অভূতপূর্ব প্রেমের কাহিনী প্রকাশ্যে এসেছে যা চিরাচরিত সামাজিক প্রথাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। দীর্ঘ তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর অবশেষে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হলেন দুই তরুণী। চরখারি শহরের বাসিন্দা হেমা (২০) নিজের মেয়ে সত্ত্বাকে দূরে সরিয়ে ‘হেমন্ত’ নাম ধারণ করে তাঁর প্রেমিকা পূজা-কে (১৮) বিয়ে করেছেন। দিল্লির একটি আদালতে আইনত বিয়ে সেরে এই দম্পতি যখন গ্রামে ফেরেন, তখন তাঁদের দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে।
হেমার ছোটবেলা থেকেই জীবনযাত্রায় ছেলেদের মতো আচরণ ছিল। দিল্লির বাসিন্দা হেমার সাথে তাঁর পৈতৃক গ্রাম লাবারহার তরুণী পূজার আলাপ থেকে বন্ধুত্বের শুরু। এরপর তিন বছরের দীর্ঘ পথ চলা এবং একে অপরকে বোঝার পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। চলতি বছরের ৬ অক্টোবর দিল্লির আদালতে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শুরুতে দুই পরিবার প্রবল আপত্তি জানালেও, ভালোবাসার জেদের কাছে হার মানে সমাজ। এখন হেমার পরিবার পূজাকে নিজেদের ‘পুত্রবধূ’ হিসেবে সসম্মানে মেনে নিয়েছে।
গ্রামে ফেরার পর হেমার বাড়িতে প্রথা মেনে ‘মুখ দেখাই’ অনুষ্ঠান ও বিয়ের পরবর্তী রীতিনীতি পালন করা হয়েছে। হেমা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তিনি লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার করানোর পরিকল্পনা করছেন, যাতে তাঁদের সম্পর্ক আরও পূর্ণতা পায়। তবে অস্ত্রোপচার না হলেও তাঁরা সারাজীবন স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হেমার মা ফুলবতী বলেন, “মেয়ের সুখেই আমাদের সুখ। আমরা পূজাকে আমাদের ঘরের বউ হিসেবেই পেয়েছি।” এই অনন্য বিবাহ এখন গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে আলোচনার মূল বিষয়।