“আমাকে এখনও চেনো না, এ বার চিনবে…”-শিক্ষককে খুনের আগে হুঁশিয়ারি দুষ্কৃতীদের

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) চত্বরে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একেবি স্কুলের শিক্ষক রাও দানিশ আলিকে বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের মধ্যেই গুলি করে খুন করল দুই দুষ্কৃতী। প্রত্যক্ষদর্শী ও দানিশের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ট্রিগার টেপার আগে রীতিমতো হুমকি দিয়ে খুনের দায় স্বীকারের ইঙ্গিত দেয় আততায়ীরা।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কাছে। প্রতিদিনের মতো দানিশ তাঁর দুই সহকর্মীর সঙ্গে ক্যাম্পাসে হাঁটছিলেন। কিছুক্ষণ হাঁটার পর তাঁরা লাইব্রেরির সামনে বসে গল্প করছিলেন। ঠিক সেই সময় একটি স্কুটারে চড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ায়। দুজনের হাতেই ছিল পিস্তল। দানিশের সহকর্মীদের দাবি, গুলি চালানোর ঠিক আগে এক দুষ্কৃতী চিৎকার করে বলে, “এখনও তুমি আমাকে চেনো না। এ বার চিনবে!” এর পরেই দানিশের কপাল লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি চালানো হয়।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দানিশ। গুলির শব্দ শুনে ভিড় জমে গেলে দুষ্কৃতীরা স্কুটারে চড়ে চম্পট দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকিউরেটর প্রফেসর মহম্মদ ওয়াসিম আলি জানান, দ্রুত তাঁকে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সুপার নীরজ জদায়ুঁ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘাতকদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত কোনো পুরনো আক্রোশ থেকে এই ঠাণ্ডা মাথার খুন হতে পারে। ঘটনার তদন্তে একাধিক পুলিশি টিম গঠন করা হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ চত্বরে এমন হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে।