“২০২৬-এ ৩ লাখ পেরিয়ে যাবে রুপো!”-সোনা কত হবে? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?

বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনা এবং রুপোর বাজারে এক অবিশ্বাস্য উত্থানের পূর্বাভাস দিচ্ছে ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (IBJA)। অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুরেন্দ্র মেহতার মতে, আগামী দুই বছরে রুপোর দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে। তাঁর অনুমান, ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে রুপোর দাম প্রতি আউন্স ৯৫-১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা বর্তমানে ৭২ ডলারের আশেপাশে রয়েছে। এর অর্থ হলো, আগামী দুই বছরে রুপোর দাম প্রায় ৩০-৪০% বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভারতে সোনার দামের ভবিষ্যৎ: শুধু রুপো নয়, সোনার দামেও বড়সড় উল্লম্ফন দেখা যেতে পারে। বর্তমানে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪,৪৮০ ডলারের কাছাকাছি থাকলেও, ২০২৬ সালের মধ্যে তা ৪,৯০০ থেকে ৫,১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে:
রুপো: বর্তমানে প্রতি কেজি ২.২৩ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ৩.১২ লক্ষ টাকায় পৌঁছাতে পারে।
সোনা: প্রতি ১০ গ্রামে ১.৩৮ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১.৫৭ লক্ষ টাকায় পৌঁছাতে পারে।
কেন এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি? সুরেন্দ্র মেহতা ব্যাখ্যা করেছেন যে, বাজারে এক মৌলিক পরিবর্তন এসেছে। ব্যাঙ্ক এবং বড় বড় ফান্ড হাউসগুলো এখন ‘পেপার রুপো’ বা ডিজিটাল রুপোর চেয়ে ‘ফিজিক্যাল’ বা বাস্তব রুপোর দিকে বেশি ঝুঁকছে। সরবরাহ কম থাকায় এবং লিজের হার ২৩-২৪ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ায় বাজারে রুপোর ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই চাহিদাই দামকে ঊর্ধ্বমুখী করছে। মাত্র এক মাসেই (২১ নভেম্বর থেকে বর্তমান) রুপোর দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ: এত দ্রুত দাম বাড়লে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। মেহতা সতর্ক করেছেন যে, মাঝে ১৮-২০ শতাংশ দাম কমতে পারে (Correction), তবে সেটিকে ট্রেন্ড রিভার্সাল বা বাজার পড়ে যাওয়া ভাবলে ভুল হবে। বরং এটিকে দীর্ঘমেয়াদী তেজি চক্রের অংশ হিসেবেই দেখতে হবে। তাঁর মতে, স্বল্পমেয়াদী পতনে আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদী লাভের দিকে নজর রাখা উচিত।