মাওবাদী সাম্রাজ্যে ধস! ওড়িশায় খতম মোস্ট ওয়ান্টেড গণেশ উইকে, এবার কি তবে ‘দেবুজি’র পালা?

ভারতের মাওবাদী আন্দোলনে এবার বড়সড় ধাক্কা। ওড়িশার কান্ধামালে নিরাপত্তা বাহিনীর এক তাবড় অভিযানে খতম হয়েছে মাওবাদীদের প্রথম সারির নেতা তথা ওড়িশা উইং-এর চিফ গণেশ উইকে। মৃত উইকে মাওবাদী গোষ্ঠীর সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যও ছিলেন। বৃহস্পতিবার কান্ধামালের চাকাপাড় পুলিশ স্টেশন এলাকার রম্ভা ফরেস্ট রেঞ্জে চালানো এই যৌথ অভিযানে মোট ৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। মাধবী হিদমার মৃত্যুর পর গণেশ উইকের এই পতন মাওবাদী শিবিরের কোমর ভেঙে দিল বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, স্পেশ্যাল ইন্টেলিজেন্স উইং-এর নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গঞ্জাম জেলা সংলগ্ন বনাঞ্চলে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। গুলির লড়াই শেষে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে ৪ জন ছিল মাওবাদী উর্দিতে। ওড়িশায় মাওবাদীদের প্রশাসনিক মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত গণেশ উইকের মৃত্যু এখন সংগঠনটির অস্তিত্ব সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে। তবে এই শূন্যস্থান ভরাট করতে এখন আলোচনায় উঠে আসছে ‘দেবুজি’ নামে এক বর্ষীয়ান মাও নেতার নাম।
কে এই দেবুজি? গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, মাওবাদীদের মিলিটারি উইং-এ দেবুজির প্রভাব যথেষ্ট। সংগঠনের আঞ্চলিক রণকৌশল নির্ধারণে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে উইকের মতো তিনিও বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে দেশে একের পর এক মাও-বিরোধী অভিযানের ফলে ক্যাডারের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। গোয়েন্দাদের মতে, দেবুজি এখন আর কমান্ডিং পজিশনে নেই, বরং সংগঠনের অবশিষ্টাংশকে একজোট রাখাই তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত চাপে মাওবাদীরা জমি হারাতে শুরু করায় ‘দেবুজি’র পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।