বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে রক্তক্ষয়ী দুর্ঘটনা! টনক নড়ল প্রশাসনের, বাটা মোড়ে পুলিশের বিশাল ‘অ্যাকশন’

বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা। সম্প্রতি এক র্যাপিডো চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং এক মহিলার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বড়দিন ও নববর্ষের প্রাক্কালে দুর্ঘটনা রুখতে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মহেশতলা বাটা মোড়ে আয়োজিত হলো এক বর্ণাঢ্য ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। মহেশতলা থানা ও ট্রাফিক গার্ডের যৌথ উদ্যোগে এই সচেতনতা প্রচার এক ভিন্ন মাত্রা পায়।
এদিনের কর্মসূচিতে স্থানীয় স্কুল পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশ ব্যান্ড এবং কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রীর পদযাত্রা বাটা মোড় থেকে শুরু হয়ে মেহমানপুর, চন্দননগর ও মহেশতলা কলেজ প্রদক্ষিণ করে। পড়ুয়াদের হাতে ছিল পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। তবে মূল আকর্ষণ ছিল বাটা মোড়ে আয়োজিত একটি পথনাটিকা। মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়া, সিগন্যাল ভাঙা, সিট বেল্ট বা হেলমেট না পরার পরিণাম কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, অভিনয়ের মাধ্যমে তা নিপুণভাবে তুলে ধরে পড়ুয়ারা। খুদেদের এই প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের হাতে চকোলেট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহেশতলা থানার আইসি (IC) স্পষ্ট বার্তা দেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে কেবল কড়া আইন যথেষ্ট নয়, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সচেতনতা জরুরি।” মহেশতলা এসডিপিও সৈয়দ রেজাউল কাবির জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশে সারা বছর এই কর্মসূচি চললেও উৎসবের মরশুমে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ রুখতে এবং ট্রাফিক আইন মানাতে পুলিশ এবার আরও কঠোর ভূমিকা নেবে বলে সাফ জানানো হয়েছে।