মুহূর্তে তছনছ দুটি পরিবার! বাগপতে প্রেমঘটিত বিবাদের জেরে খুন ও আত্মহত্যার জোড়া মৃত্যু।

উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার মহাবতপুর বাভলি গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটে গেল এক হাড়হিম করা ঘটনা। ২৩ বছর বয়সী যুবক সতনম কাটারিয়া ১৮ বছর বয়সী গুড্ডন নামে এক তরুণীকে গুলি করে হত্যা করার পর নিজে আত্মহত্যা করেন। সাতসকালে গ্রামের হরিজন চৌপালের কাছে এই গুলির শব্দে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সূত্রপাত: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুড্ডন পেশায় একজন দর্জি ছিলেন এবং তাঁর বাবা স্থানীয় থানায় প্রহরী হিসেবে কর্মরত। প্রতিবেশী সতনম দীর্ঘদিন ধরে গুড্ডনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সতনম ও তাঁর পরিবার পাঞ্জাবের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন এবং সম্প্রতি গ্রামে ফিরেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ গুড্ডন মুদিখানা সওদা কিনতে বেরোলে বাড়ির পিছনের গলিতে সতনম তাঁর পথ আটকান। দু-জনের মধ্যে তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছালে সতনম গুড্ডনের মাথায় লক্ষ্য করে পিস্তল চালিয়ে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তরুণী।
নৃশংস কাণ্ড ও আত্মহত্যা: প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তরুণীকে খুনের পর সতনম নিজেকে গুলি করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পিস্তলে গুলি আটকে যাওয়ায় তিনি নিজের বাড়িতে গিয়ে নিম গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় গুড্ডনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার চৌহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ফরেনসিক দল অভিযুক্তের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে।