আওয়ামী লীগ ছাড়া ভোট মানেই ‘রাজ্যাভিষেক’, ইউনূস সরকারকে পাল্টা তোপ শেখ হাসিনার।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন।

শফিকুল আলম জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সমস্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

শেখ হাসিনার কড়া প্রতিক্রিয়া: দলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হবে না, তা হবে স্রেফ রাজ্যাভিষেক।” তিনি আরও যোগ করেন যে, ড. ইউনূস জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই দেশ শাসন করছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে যে সরকার গঠিত হবে, তার শাসন করার কোনো নৈতিক অধিকার থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। প্রায় দেড় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন বিশ্ব রাজনীতিতেও শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।