১০৫ গুণ পিই রেশিও-র পরেও কেন সস্তায় মিলছে আম্বার? জেনে নিন এই মাল্টি-সেক্টর কোম্পানির ভবিষ্যৎ লক্ষ্য।

বর্তমানে ভারতের কনজিউমার ডিউরেবল সেক্টর যখন চাপের মুখে, তখন বিনিয়োগকারীদের জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘আম্বার এন্টারপ্রাইজ ইন্ডিয়া’ (Amber Enterprise India)। ২০২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (Q2FY26) যেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা (FII) এই সেক্টর থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছেন, সেখানে আম্বারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। বিদেশি ও ঘরোয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (DII) এই শেয়ারে নিজেদের অংশীদারি বাড়িয়েছেন।
কেন নজরে আম্বার এন্টারপ্রাইজ?
-
বিনিয়োগকারীদের আস্থা: গত এক বছরে নিফটি কনজিউমার ডিউরেবল ইনডেক্স ১০.৫% পড়লেও, আম্বারে এফআইআই অংশীদারি বেড়ে হয়েছে ৩০.৬% এবং ডিআইআই অংশীদারি দাঁড়িয়েছে ২০.২%। গত ৩ বছরে এই স্টক বিনিয়োগকারীদের ২৬০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
-
এসি ইন্ডাস্ট্রির মেরুদণ্ড: ভারতের রুম এসি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের প্রায় ২৬% মার্কেট শেয়ার এই কোম্পানির দখলে। ভোল্টাস থেকে শুরু করে বড় বড় প্রায় সব ব্র্যান্ডের এসি তৈরি করে দেয় আম্বার।
-
বিচিত্র ব্যবসার প্রসার: আগে আয়ের সিংহভাগ এসি থেকে এলেও, বর্তমানে কোম্পানি রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, সেট-টপ বক্স এবং ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিস (EMS) এর ওপর জোর দিচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ: কোম্পানি তামিলনাড়ুর হোসুরে ৯৯১ কোটি টাকা এবং জেওয়ারে ৩২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নতুন ইলেকট্রনিক্স প্ল্যান্ট বসাচ্ছে। এছাড়াও পঞ্জাবে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি আধুনিক আরএন্ডডি (R&D) সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে এবং ডিফেন্স সেক্টরের জন্য স্পেশাল এসি এবং ব্রেক সিস্টেম তৈরি করেও কোম্পানি আয়ের নতুন উৎস তৈরি করেছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা: যদিও কোম্পানির বর্তমান ভ্যালুয়েশন কিছুটা বেশি (PE প্রায় ১০৫), তবুও ম্যানেজমেন্টের আশা ২০২৬ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিক থেকে এসি ইন্ডাস্ট্রিতে আবার জোরালো রিকভারি দেখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য আম্বার এখন একটি ‘মাল্টি-সেক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং’ প্লে হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।