রক্তক্ষয়ী এনকাউন্টার! ওড়িশায় মাওবাদীদের শক্তঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল এসওজি ও বিএসএফ, মূলধারায় ফিরলেন বিদ্রোহীরা।

ওড়িশার কন্ধমাল জেলায় মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। গত দু-দিনের রুদ্ধশ্বাস তল্লাশি অভিযানে খতম হয়েছে ৫ জন মাওবাদী। বুধবার বেলঘর থানার গুম্মা অরণ্যে এনকাউন্টারে ২ জন এবং বৃহস্পতিবার চাকাপদ থানার নারিগ ঝোলা অরণ্যে আরও ৩ জন মাওবাদী নিহত হয়। মৃতদের মধ্যে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ওড়িশায় মাওবাদী কার্যকলাপের অন্যতম মাথা গণেশ উইকে রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো এই বিশাল অভিযানে এসওজি (SOG), সিআরপিএফ (CRPF) এবং বিএসএফ (BSF)-এর মোট ২৩টি দল যৌথভাবে অংশ নিয়েছিল। ২৫ ডিসেম্বর সকালে ব্যাপক গুলিবিনিময়ের পর জঙ্গল থেকে চারজন মাওবাদীর ইউনিফর্ম পরিহিত দেহ (দুই পুরুষ ও দুই মহিলা) উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ইনসাস (INSAS) এবং .৩০৩ রাইফেলও উদ্ধার করেছে বাহিনী। পুলিশের দাবি, ওই অঞ্চলে এখন শুধুমাত্র দেবুজি নামক এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা সক্রিয় রয়েছে, তাকে ধরার চেষ্টাও চলছে।
অন্যদিকে, এই অভিযানের মাঝেই ওড়িশা পুলিশের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন ২২ জন মাওবাদী ক্যাডার। ডিজিপি যোগেশ বাহাদুর খুরানার উপস্থিতিতে একে-৪৭ এবং এসএলআর রাইফেল জমা দিয়ে তাঁরা মূলধারায় ফেরার অঙ্গীকার করেন। ডিজিপি জানান, “২০২৫ সালে এটিই ওড়িশায় প্রথম বড় মাপের গণ-আত্মসমর্পণ। সরকার পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করেছে, তাই আমি অন্য মাওবাদীদেরও অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আবেদন জানাচ্ছি।” আত্মসমর্পণকারী এই মাওবাদীরা এখন সরকারি ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং আর্থিক সহায়তার আওতায় আসবেন।