অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যু হলে শ্রাদ্ধ করবেন কে? গরুড় পুরাণের এই নিয়ম না জানলে হতে পারে ঘোর বিপদ!

হিন্দু ধর্মে জীবন যেমন সংস্কারে বাধা, মৃত্যু পরবর্তী আচার-অনুষ্ঠানও তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্রীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রাদ্ধ ও তর্পণ না হলে বিদেহী আত্মা শান্তি পায় না এবং প্রেত যোনি থেকে মুক্তি মেলে না। তবে সাধারণের মনে একটি প্রশ্ন প্রায়শই উঁকি দেয়—যদি কোনো ব্যক্তি অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তবে তাঁর পারলৌকিক কাজ করার অধিকার কার? ১৮টি মহাপুরাণের অন্যতম ‘গরুড় পুরাণ’-এ এই সমস্যার সুস্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়েছে।

পিতার অগ্রাধিকার ও বিকল্প নিয়ম: সাধারণত পুত্রই পিতার শ্রাদ্ধ করে থাকে। কিন্তু পুত্র যদি অবিবাহিত অবস্থায় প্রাণ হারায়, তবে তাঁর স্ত্রী বা সন্তান থাকে না। এমতাবস্থায় গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, পুত্রের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ করার প্রাথমিক অধিকার ও দায়িত্ব তাঁর পিতার। যদি পিতা জীবিত না থাকেন বা শারীরিক কারণে অক্ষম হন, তবে মৃতের জ্যেষ্ঠ বা অনুজ ভ্রাতা এই দায়িত্ব পালন করবেন। ভাই না থাকলে কাকা বা বংশের অন্য কোনো পুরুষ সদস্য এই কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

অকাল মৃত্যু ও ‘নারায়ণ বলি’ বিধান: শাস্ত্র মতে, অবিবাহিত মৃত্যু অনেক সময় ‘অপূর্ণ জীবন’ হিসেবে গণ্য হয়। এই অতৃপ্ত আত্মার শান্তির জন্য গরুড় পুরাণে বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। বিশেষত অকাল মৃত্যু ঘটলে ‘নারায়ণ বলি’ পুজো করার বিধান রয়েছে। গয়া বা হরিদ্বারের মতো পবিত্র তীর্থস্থানে এই পুজো করালে আত্মা প্রেত যোনি থেকে মুক্ত হয়ে পিতৃলোকে স্থান পায় বলে বিশ্বাস করা হয়।