ইউনূস সরকারের অন্দরে মহাপ্রলয়! বিশেষ সহকারীর পদত্যাগ, তবে কি মাঝপথেই ডুবছে তরী?

বাংলাদেশে অস্থিরতার পারদ ক্রমশ চড়ছে। একদিকে যখন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যত ভেঙে পড়েছে, ঠিক তখনই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের অস্বস্তি বাড়িয়ে পদ ছাড়লেন তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত খোদা বকশ চৌধুরী। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদ থেকে তাঁর এই হঠাৎ ইস্তফা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্য়েই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
খোদা বকশ চৌধুরীর এই পদত্যাগের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও, নেপথ্যে বড় কোনো কারণ কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চ ইউনূস সরকারকে ২৪ ঘণ্টার চরম সময়সীমা বা ডেডলাইন দিয়েছিল। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে, অভিযুক্তরা ধরা না পড়লে বড়সড় রদবদল বা পদত্যাগের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। এই ডেডলাইনের রেশ কাটতে না কাটতেই বিশেষ সহকারীর প্রস্থান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার গভীরে রয়েছে আরও বড় কোনো সংঘাত। জানা যাচ্ছে, নিহত ওসমান হাদিকে নিরাপত্তা দিতে রাজি হননি খোদা বকশ চৌধুরী। অভিযোগ উঠেছে, হাদি হত্যাকে ইস্যু করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি এবং আসন্ন নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার একটি নীল নকশা তৈরি হচ্ছিল। সেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেতেই কি তিনি নিজেকে সরিয়ে নিলেন, নাকি ইনকিলাব মঞ্চের চাপের কাছে নতি স্বীকার? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকার বাতাসে। একের পর এক আধিকারিকের পদত্যাগ ইউনূস সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন খাড়া করে দিল।