মুম্বইয়ের মসনদে কে? বিএমসি ভোটের মহারণ ১৫ জানুয়ারি, উদ্ধব-রাজ জুটিতে কাঁপছে বিজেপি শিবির

দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু হয়ে গেল। প্রায় আড়াই দশকের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (BMC) নির্বাচন। ফলাফল জানা যাবে পরের দিনই, অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি। এই নির্বাচনকে কেবল পুরসভা ভোট হিসেবে দেখছে না কোনও পক্ষই; এটি এখন মহারাষ্ট্রের রাজনীতির শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এবং ২০২৬-এর প্রেক্ষাপটে এক বিশাল শক্তি প্রদর্শন।

এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক থ্যাকারে ভাইদের পুনর্মিলন। দীর্ঘ ২০ বছর পর একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে জোট ঘোষণা করেছেন উদ্ধব থ্যাকারে এবং রাজ থ্যাকারে। শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এমএনএস-এর এই জোট সরাসরি ‘মারাঠি অস্মিতা’কে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে। রাজ থ্যাকারে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, “মুম্বইয়ের পরবর্তী মেয়র হবেন একজন মারাঠি মানুষ এবং তিনি আমাদের জোট থেকেই আসবেন।” এই জোট একদিকে যেমন মারাঠি ভোটব্যাঙ্ককে সংহত করছে, অন্যদিকে বিজেপি-শিন্ডে শিবিরের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে।

অন্য দিকে, শাসক জোট ‘মহায়ুতি’-র ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বিজেপির কাছে ১০৫টি আসনের দাবি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে বৈঠকে শিন্ডে যুক্তি দিয়েছেন যে, মারাঠি প্রধান এলাকাগুলোতে উদ্ধব-রাজ জোটকে রুখতে গেলে শিবসেনাকেই বেশি আসন দিতে হবে। যদিও বিজেপি এখনও পর্যন্ত তাদের জোটসঙ্গীকে ৬০ থেকে ৭০টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। মুম্বইয়ের ২২৭টি আসনের মধ্যে অন্তত ২০০টি আসনে রফা হয়ে গেলেও বাকি ২৭টি নিয়ে দরাদরি তুঙ্গে। অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্নীতি এবং মুম্বইয়ের প্রশাসনিক স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো এই নির্বাচনে ভোটারদের প্রধান বিচার্য হতে চলেছে।