“ভারতে লিঞ্চিং হয় না, বাংলাদেশে কেন?” ওপার বাংলার রক্তক্ষয়ী হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক শশী থারুর!

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা এবং দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের মতো নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ শশী থারুর। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও বাংলাদেশে যেভাবে ‘লিঞ্চিং’ বা পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “ভারতে প্রতিবাদ হয়, কিন্তু এখানে কাউকে পিটিয়ে মারা হয় না। কোনো হিংসার চেষ্টা হলে পুলিশ তা কঠোর হাতে দমন করে। বাংলাদেশেও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা জরুরি।”

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক উগ্রপন্থী ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী অশান্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন থারুর। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক করে বলেন, “আইনহীনতা এবং ভয়ের পরিবেশে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।” ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রভাব পড়লেও, ভারতের প্রতিবাদগুলো যে শান্তিপূর্ণ এবং নিয়ন্ত্রিত, তা গর্বের সাথে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে থারুর বলেন, “হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া ভারতের মানবিকতার সঠিক দৃষ্টান্ত। তিনি দীর্ঘদিনের বন্ধু, তাই সব কূটনৈতিক ও আইনি দিক খতিয়ে না দেখে তাঁকে জোর করে ফেরত পাঠানো উচিত নয়।” একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুর চড়িয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁর মতে, অবৈধ অনুপ্রবেশ যদি ঘটে থাকে, তবে তা সীমান্ত ব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং সরকারকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে হবে।