২০২৬-এর নির্বাচনে কি বিএনপি-র জয় নিশ্চিত? তারেক রহমানের ফেরায় রণহুঙ্কার গুলশানে।

বাংলাদেশের উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দানে সবথেকে বড় মোড়! দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেককে শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর এই প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে ঘটল, যখন বাংলাদেশে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে।

রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ও গুলশানে প্রস্তুতি: লন্ডন থেকে বিশেষ বিমানে তারেক রহমান তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে তিনি সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ঢাকায় তাঁর গুলশানের বাসভবনে তাঁর থাকার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ও আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং মির্জা আব্বাসের মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

কেন চিন্তায় আওয়ামী লীগ শিবির? বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্বিমুখী লড়াই চিরকালীন—হাসিনার আওয়ামী লীগ বনাম খালেদা জিয়ার বিএনপি। ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমানে বিএনপিই সবথেকে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। একাধিক জনমত সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ২০২৬-এর নির্বাচনে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের সরাসরি ময়দানে নামা বিএনপি কর্মীদের মধ্যে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছে।

প্রতিশোধের রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ: শেখ হাসিনার শাসনকালে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সহ হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধের রাজনীতি’ তীব্র হতে পারে। হাসিনাপন্থী নেতাদের জন্য এটি বড় বিপদ সংকেত। তারেক রহমানের ফিরে আসা কেবল একটি দলের নেতা ফেরা নয়, বরং বাংলাদেশের ক্ষমতার সিংহাসনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।