১০ টাকার অফার কেড়ে নিতে পারে ১ লক্ষ টাকা! ২০২৫-এর উৎসবের মরশুমে হাই-অ্যালার্ট জারি বিশেষজ্ঞদের।

ক্রিসমাস এবং নববর্ষ মানেই খুশির আমেজ আর দেদার কেনাকাটা। কিন্তু উৎসবের এই ভিড় আর ব্যস্ততার সুযোগ নিতে ওত পেতে বসে আছে সাইবার অপরাধীরা। অনলাইন শপিং, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কুরিয়ার ডেলিভারির এই রমরমা সময়ে ২০২৫-এর উৎসবের মরশুমের জন্য দেশজুড়ে ‘হাই-অ্যালার্ট’ জারি করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। সামান্য অসতর্কতায় আপনার কষ্টার্জিত অর্থ মুহূর্তের মধ্যে লোপাট হয়ে যেতে পারে।

সাইবার জালিয়াতি ও বর্তমান পরিস্থিতি: সাইবার জালিয়াতি হলো এমন এক ডিজিটাল অপরাধ যেখানে প্রতারকরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বা পাসওয়ার্ড চুরি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেয়। উৎসবের সময় মানুষ সাধারণত তাড়াহুড়ো করে কেনাকাটা করে এবং বড় ছাড়ের প্রলোভনে পড়ে কম সতর্ক থাকে। এই সুযোগটাই নেয় অপরাধীরা। ভারতে গত কয়েক বছরে উৎসবের মরশুমে এই ধরনের জালিয়াতির হার কয়েক গুণ বেড়েছে।

প্রতারণার কৌশল: সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে ‘ফিশিং’ (Phishing)। আপনার মোবাইলে ব্যাংক বা জনপ্রিয় শপিং সাইটের নামে জাল লিঙ্ক পাঠানো হয়। আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট, লাকি ড্র বা গিফট ভাউচারের টোপ দিয়ে আপনার কাছ থেকে ওটিপি (OTP) বা কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল বিক্রেতার প্রোফাইল তৈরি করা বা ভুয়ো অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে তথ্য চুরির ঘটনাও এখন নিত্যনৈমিত্তিক।

বাঁচার সহজ উপায়: ১. সর্বদা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে কেনাকাটা করুন। লিঙ্কের বানান (URL) ভালো করে মিলিয়ে দেখুন। ২. কোনো অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না বা কাউকেই ওটিপি (OTP) দেবেন না। মনে রাখবেন, ব্যাংক কখনও ফোনে ওটিপি চায় না। ৩. অ্যাকাউন্টে ‘টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ (Two-factor authentication) চালু রাখুন এবং পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করুন। ৪. ফোনে ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত ব্যাংক স্টেটমেন্ট পরীক্ষা করুন।

প্রতারিত হলে কী করবেন? যদি কোনোভাবে প্রতারণার শিকার হন, তবে সময় নষ্ট না করে পদক্ষেপ নিন। প্রথমে ব্যাঙ্কে ফোন করে আপনার কার্ড বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করুন। এরপর সরাসরি জাতীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টাল cybercrime.gov.in-এ অভিযোগ জানান। এছাড়া সরকারি হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০-এ কল করে দ্রুত সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, সময়মতো অভিযোগ করলে টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।