সীমান্তে পাহারা কোথায়? অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মোদী সরকারকে তোপ দেগে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে সরব কংগ্রেস সাংসদ।

বাংলাদেশে দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, ভারতেও রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে প্রতিবাদ হয়, কিন্তু এ দেশে ভিড়ের উন্মত্ততায় কাউকে পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি নেই। থারুরের দাবি, এ দেশে কোনো হিংসার চেষ্টা হলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেয় এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারেরও সেই একই পথে হাঁটা উচিত।

মহাম্মদ ইউনুসকে কর্তব্যের স্মারক: বাংলাদেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি এবং ভারত-বিরোধী মৌলবাদী ছাত্রনেতা শরিফ উসমান হাদির মৃত্যুর পর ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন থারুর। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অরাজকতা এবং ভয়ের পরিবেশে কোনো সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয়।” আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। থারুর মনে করেন, ভোটাররা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা মহাম্মদ ইউনুসের নৈতিক কর্তব্য।

হাসিনা ও ভারতের বন্ধুত্বের মর্যাদা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে থারুর ভারতের মানবিক অবস্থানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বহু বছর ধরে দিল্লির একজন বিশ্বস্ত বন্ধু। ভারত সঠিক মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তাকে আশ্রয় দিয়ে।” সরকার সমস্ত দিক খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত হাসিনাকে ভারতেই সুরক্ষিত রাখা উচিত বলে মনে করেন এই বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা।

অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সরকারকে আক্রমণ: অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি থারুর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি অবৈধ অভিবাসীরা আমাদের দেশে ঢুকে পড়ে, তবে সেটা কি আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তার ব্যর্থতা নয়?” অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কার করার অধিকার সরকারের থাকলেও, সীমান্তে কেন আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ নেই—সেই নিয়ে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন তিরুবনন্তপুরমের এই সাংসদ।