মদ মাফিয়াদের দাপট না কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? বিহারে প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি বুথ সভাপতিকে খুনে উত্তাল রাজনীতি।

বিহারের সমস্তিপুরে ফের একবার আইনের শাসন নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সী বিজেপি নেতা রূপক সাহানি। শাদিপুর ব্রিজের কাছে মোটর সাইকেলে চড়ে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর পাঁচটি গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেন এই হত্যাকাণ্ড? নিহত রূপক সাহানি সমস্তিপুরের খানপুর থানা এলাকার শাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং বিজেপির বুথ সভাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বড় ভাই দীপক সাহানিও বিজেপির ব্লক মিডিয়া ইনচার্জ। পরিবারের দাবি, এলাকায় অবৈধ মদ বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন রূপক, যা মদের মাফিয়াদের চক্ষুশূল করে তুলেছিল তাঁকে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, স্থানীয়দের একাংশের মতে, পুরনো কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই নৃশংস অপরাধ।
পুলিশি ব্যবস্থা ও অ্যাকশন: ঘটনার পর পুলিশ সুপার (এসপি) গভীর রাতে এলাকায় পৌঁছান। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে খানপুর থানার প্রধান রঞ্জিত কুমার চৌধুরীকে তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে সনু এবং মনু নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি অপরাধীদের ধরতে তিনটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ‘বুলডোজার’ হুঙ্কার: বিহারের নতুন সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, মদ ও খনি মাফিয়াদের কোনোভাবেই রেয়াত করা হবে না। অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তাঁদের ডেরায় ‘বুলডোজার’ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্তিপুরের এই ঘটনাটি বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি করেছে।