সরকারি কর্মীদের জন্য লটারি! নবান্নের নয়া সিদ্ধান্তে খুলল পদোন্নতির বদ্ধ দুয়ার

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করল নবান্ন। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিরেক্টরেটের কর্মীদের জন্য ‘কমন ক্যাডার’ গঠনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। এতদিন মহাকরণ বা নবান্নের সচিবালয় স্তরের কর্মীরা যে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেতেন, এবার থেকে ডিরেক্টরেটের কর্মীরাও সেই একই সারিতে চলে এলেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে হাজার হাজার কর্মীর পদোন্নতি ও বদলি সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে।

কী এই ‘কমন ক্যাডার’ এবং এর সুবিধা কী? এতদিন নিয়ম ছিল, কোনো কর্মী যে দপ্তরের ডিরেক্টরেটে নিযুক্ত হতেন, তাঁকে সারা জীবন সেই নির্দিষ্ট দপ্তরেই কাটাতে হতো। বিশেষ করে ছোট ডিরেক্টরেটগুলির ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল প্রকট; সেখানে উচ্চপদে শূন্যপদ না থাকলে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর পদোন্নতি আটকে থাকত কর্মীদের। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত ডিরেক্টরেটের কর্মীরা এখন ‘কর্মীবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর’-এর অধীনে চলে এলেন। ফলে এখন থেকে এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে পদোন্নতি বা বদলি হওয়া অনেক সহজ হবে। নিজের দপ্তরে পদ খালি না থাকলেও যোগ্য কর্মীরা অন্য দপ্তরে পদোন্নতি নিয়ে যেতে পারবেন।

নবান্নের এই মানবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কর্মচারী দরদি, এই সিদ্ধান্ত তার আরও এক বড় প্রমাণ। ফেডারেশনের উদ্যোগেই ফাইলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে ডিরেক্টরেট ও রিজিওনাল স্তরের অগণিত কর্মচারী উপকৃত হবেন এবং তাঁদের কর্মজীবনে গতি আসবে।