“পাশের বাড়ির পচাকাকুর মতো দেখতে হলে সেটা আপনার সমস্যা!” কাঞ্চন-কন্যাকে বিদ্রূপ করতেই রণচণ্ডী শ্রীময়ী!

টলিউডের বিতর্কিত অথচ চর্চিত দম্পতি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে মা হওয়া—প্রতিটি পদক্ষেপেই নেটিজেনদের একাংশের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তাঁরা। তবে এবার আক্রমণের তির ধেয়ে এল তাঁদের একরত্তি কন্যা কৃষভির দিকে। এক বছরের দুধের শিশুকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত কুরুচিকর ও অশ্লীল মন্তব্য করায় এবার আর চুপ থাকলেন না মা শ্রীময়ী। ট্রোলারদের ‘বিচুটি পাতার’ মতো জ্বালাময়ী জবাব দিয়ে সমাজমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী জানান, তাঁর মেয়ের চেহারা নিয়ে ট্রোলিং এখন শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কৃষভি দেখতে অবিকল তাঁর বাবা কাঞ্চনের মতো, এই নিয়ে বিদ্রূপ করা হলে শ্রীময়ী চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, “কৃষভি তাঁর বাবা-মায়ের রক্ত নিয়ে জন্মেছে, তাই তাঁদের মতোই দেখতে হবে। আপনি যদি বাবার মতো না হয়ে পাশের পাড়ার পচাকাকুর মতো দেখতে হন, সেটা আপনার বাবা-মায়ের সমস্যা।”
তবে বিতর্কের পারদ চড়ে যখন শ্রীময়ী ফাঁস করেন যে, তাঁর এক বছরের কন্যাসন্তানের ‘এক রাতের রেট’ জানতে চেয়েছে কিছু বিকৃতমনা মানুষ। এই চরম অশ্লীলতার প্রতিবাদে শ্রীময়ী বলেন, “আমার মেয়ের রেট বোঝার ক্ষমতা এখনও হয়নি। ওর বাবা-মা বেঁচে আছে, ওর রোজগার করার দরকার নেই। যে এই প্রশ্ন করছেন, তিনি বরং তাঁর মা, স্ত্রী বা সন্তানের রেট আমাকে লিখে পাঠান। যেখানে তাঁদের পাঠিয়েছেন, সেই রেটগুলো জানালে ভালো হয়।”
শ্রীময়ী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি ভয় পেয়ে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করবেন না। বরং শ্যুটিংয়ের ফাঁকে সময় পেলে এই সব ‘জন্তু’দের যোগ্য জবাব দেবেন। তিনি চাইল্ড কমিশন বা পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারতেন, কিন্তু আইনি লড়াইয়ে মেয়ের নাম জড়াতে চান না বলেই নিজে হাতেই ট্রোলারদের শাসন করছেন। শেষে বিদ্রূপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, “যাঁরা এসব বলছেন তাঁদের মানসিক চিকিৎসা দরকার, প্রয়োজনে আমি সরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।”