পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’! পাকিস্তানের সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে ২৩ মিনিটে ইতিহাস গড়ল ভারত

২০২৫ সাল ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক স্বর্ণাক্ষরে লেখা অধ্যায় হয়ে থাকবে। পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় ২৬ জন পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভয়াবহ প্রত্যাঘাত চালাল ভারতীয় সেনা। ৬ মে রাতের সেই ২৩ মিনিটের অপারেশনে তছনছ হয়ে গিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি। যার নাম দেওয়া হয়েছিল— ‘অপারেশন সিঁদুর’।
২৩ মিনিটের ধ্বংসলীলা ও পাকিস্তানের দিশাহারা দশা ভারতীয় বায়ুসেনা ও সেনার যৌথ অভিযানে বাহাওয়ালপুরে মৌলানা মাসুদ আজাহারের সাম্রাজ্য ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়। হামলায় খতম হয় মাসুদের পরিবারের ১০ সদস্যও। এরপর পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলার চেষ্টা করলেও ভারতের ‘এস-৪০০’ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ‘এডিসিআরএস’ (ADCRS) সিস্টেমের কাছে তা নস্যাৎ হয়ে যায়। লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। ডিজিএমও রাজীব ঘাই হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “ভারতের প্রতিরক্ষা কিং কোহলির মতোই শক্তিশালী।”
বিদেশ নীতি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত দাবি অপারেশন সিঁদুরের পর ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক টানাপোড়েন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি এবং তাঁর প্রতিনিধিরা ব্যবসার টোপ দিয়ে ভারতকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করিয়েছেন। ট্রাম্পের এই দাবিকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারকে বিঁধেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, বিদেশ নীতির প্রশ্নে কেন্দ্র ব্যর্থ। যদিও কংগ্রেসের মধ্যে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে অভিজ্ঞ কূটনীতিক তথা সাংসদ শশী থারুরের গলায়। সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি।
ঐক্যের ছবি ও বিশ্বজুড়ে ভারতের গর্জন এই সংকটের সময়ে ভারত সরকার ৫০ জন সাংসদকে নিয়ে ৭টি দল তৈরি করে বিশ্বের ৩৩টি দেশে পাঠায়। শশী থারুরের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আমেরিকার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অপারেশন সিঁদুর প্রমাণ করেছে, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে ভারত এখন অনেক বেশি স্বনির্ভর। ১৪০ কোটির এই দেশ একসুরে বুঝিয়ে দিয়েছে—সন্ত্রাসবাদের কোনো জায়গা ভারতের মাটিতে নেই।