আপাতত যাচ্ছে না চাকরি, স্বস্তিতে জিটিএ-র প্রাথমিক শিক্ষকরা! ১২ সপ্তাহের রক্ষাকবচ দিল আদালত

জিটিএ (GTA) শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন পাহাড়ের ৩১৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক। সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর বুধবার ১২ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পাহাড়ের এই ৩১৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ বলে তা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শিক্ষকরা। এদিন শুনানিতে জিটিএ-র আইনজীবী দিগেন লামা সওয়াল করেন যে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা গত ১২ বছর ধরে কর্মরত। আচমকা তাঁদের চাকরি চলে গেলে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আদালত সেই যুক্তি গ্রহণ করে আপাতত ৩ মাসের জন্য সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও মামলাকারীদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খুশি পাহাড়ের শিক্ষক মহল আদালতের এই রায়ে পাহাড় জুড়ে খুশির হাওয়া। প্রাথমিক শিক্ষিকা সারিকা গুরুং জানিয়েছেন, এই রায়ে তাঁরা নতুন করে লড়াই করার সময় পেলেন এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁদের আস্থা আরও বাড়ল। আপাতত ১২ সপ্তাহ সময় পাওয়ায় তাঁদের মাথার ওপর থেকে চাকরি হারানো খাঁড়া সরে গেল। পরবর্তী শুনানিতে ইতিবাচক রায়ের আশায় বুক বাঁধছেন পাহাড়ের এই ৩১৩ জন শিক্ষক।