শান্তিনিকেতন থেকে দেশে ফেরা দায়, আটকে ওপার বাংলার ছাত্রীরাও! রবীন্দ্রনাথে আঙিনায় বাড়ছে ভিসা আতঙ্ক

ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী নজিরবিহীন সহিংসতায় জ্বলছে বাংলাদেশ। এই উত্তাল পরিস্থিতিতে ওপার বাংলায় ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসা যে বিশাল সংখ্যক পড়ুয়া শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেন, ভিসা জটিলতায় তাঁদের ভবিষ্যৎ এখন কার্যত সুতোয় ঝুলছে।

বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের বাংলাদেশি ছাত্রীরা জানিয়েছেন, সেমেস্টার শেষে ছুটিতে বাড়ি ফেরার ইচ্ছা থাকলেও ভিসার ভয়ে তাঁরা শান্তিনিকেতন ছাড়তে পারছেন না। আবার অনেকে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন, ভিসা না মেলায় নতুন সেমেস্টারে যোগ দিতে পারছেন না। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশের পড়ুয়ারা এখানকার ঐতিহ্য। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন এখানকার ‘বাংলাদেশ ভবন’। বর্তমানে ছায়ানট ও সংবাদপত্রের অফিসে হামলার ঘটনায় ওপার বাংলার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় পর্যটন ও শিক্ষা—উভয়ই মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেও আন্তর্জাতিক এই সমস্যার সমাধানে দিল্লির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন শিক্ষক ও ছাত্ররা।