বালিগঞ্জে মামাকেই প্রার্থী করলেন হুমায়ূন কবীর! পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েও দিলেন বিস্ফোরক ব্যাখ্যা

বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে নিজের মামা আবুল হাসানকে প্রার্থী করে ফের বঙ্গ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে জন উন্নয়ন পার্টির প্রধান হুমায়ূন কবীর। পরিবারতন্ত্র এবং ধর্মীয় রাজনীতির অভিযোগ যখন চারদিক থেকে আছড়ে পড়ছে, তখন এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাঁড়িয়ে সোজাসাপ্টা যুক্তি সাজালেন প্রাক্তন এই পুলিশ অফিসার। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের পিছনে পারিবারিক আবেগ নয়, কাজ করেছে বালিগঞ্জের জনসংখ্যার কঠিন বাস্তব।

হুমায়ূন কবীরের মতে, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে মুসলিম জনসংখ্যার হার প্রায় ৪৯ শতাংশ। তাই গণতান্ত্রিকভাবে একজন মুসলিম প্রার্থী দেওয়াই স্বাভাবিক। তাঁর মামা আবুল হাসান একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং যথেষ্ট যোগ্য বলেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিরোধীরা যখন ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে তোপ দাগছেন, তখন হুমায়ূনের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, “যোগ্যতা থাকলে আত্মীয় হলেও প্রার্থী করা যায়। বিজেপি-তৃণমূলকে আমি ময়দানে দেখে নেব।”

একই সঙ্গে নিশা চ্যাটার্জিকে টিকিট না দেওয়া নিয়ে চলা বিতর্কেও জল ঢেলেছেন তিনি। হুমায়ূন জানান, নিশার পোশাক এবং ভাইরাল ভিডিওর জেরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল, তাই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর সাথে ধর্মের কোনও যোগ নেই। আগামী ২০০টি আসনের লড়াইয়ে ১১০টি আসনে হিন্দু প্রার্থী দেবেন বলেও তিনি স্পষ্ট করেন। এখন প্রশ্ন হলো, বালিগঞ্জের মতো হাই-প্রোফাইল কেন্দ্রে হুমায়ূনের এই ‘মামা-ভাগ্নে’ রসায়ন আর ধর্মের অঙ্ক কতটা কার্যকর হবে?