“এটা নিম্নমানের চুক্তি, ভারতকে সব দিয়ে দেওয়া হয়েছে!” নিউজিল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবিতে তোলপাড়

ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে রেকর্ড ৯ মাসে সম্পন্ন হওয়া ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে এবার নিজের দেশেই প্রবল বাধার মুখে প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও লুক্সনের মধ্যে টেলিফোনিক আলাপচারিতার পর এই চুক্তির ঘোষণা হতেই নিউজিল্যান্ডের জোট সরকারের অন্দরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। খোদ নিউজিল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স এই চুক্তিকে ‘অস্বচ্ছ’ এবং ‘নিউজিল্যান্ডের স্বার্থবিরোধী’ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন।

উইনস্টন পিটার্স কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, এই চুক্তি মোটেও ‘মুক্ত’ বা ‘ন্যায্য’ নয়। তাঁর অভিযোগ, জোটের প্রধান শরিক ন্যাশনাল পার্টি তাড়াহুড়ো করে ভারতের সঙ্গে এই ‘নিম্নমানের’ চুক্তি করেছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছিলাম তাড়াহুড়ো না করে ভারতের সঙ্গে দরকষাকষি করতে। কিন্তু তারা শোনেনি। এই চুক্তিতে ভারতীয়দের অভিবাসন বা ভিসার ক্ষেত্রে প্রচুর সুবিধা দেওয়া হলেও নিউজিল্যান্ডের দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারের জন্য কোনও সুখবর নেই।” এমনকি পার্লামেন্টে এই চুক্তির বিরোধিতা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

তবে ভারতের জন্য এই চুক্তি বড় জয়ের সমান। এই চুক্তির ফলে আগামী ৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে এবং নিউজিল্যান্ড ভারতে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। ভারতীয় পেশাদার ও পড়ুয়াদের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরজা আরও সহজে খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা, প্রতিরক্ষা ও ক্রীড়াক্ষেত্রেও দু’দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। কিন্তু কিউই বিদেশমন্ত্রীর এই ‘বিদ্রোহ’ চুক্তির ভবিষ্যৎ বাস্তবায়নে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার।