এক মাসের মধ্যে ভোটাভুটি! তমলুকের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে হাইকোর্টের চরম হুঁশিয়ারিতে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল

পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ফের আইনি জটিলতায় অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তমলুক (তাম্রলিপ্ত) পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি কাউন্সিলর এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথী মাইতির দায়ের করা জোড়া মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী এই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, আগামী এক মাসের মধ্যে সঠিক নিয়ম মেনে স্বচ্ছভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

বর্তমানে তমলুক পুরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন চঞ্চল কুমার খাঁড়া। কিন্তু তাঁর নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনানুগ নয় বলে অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির। এদিন হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান নিয়োগ পদ্ধতিতে ত্রুটি রয়েছে এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করাতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়াটির তদারকি করবেন মহকুমা শাসক (SDO) এবং জেলাশাসক (DM)।

আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে নিজেদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে বিরোধী শিবির। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থসারথী মাইতি বলেন, “চেয়ারম্যান অবৈধভাবে পদে বসেছিলেন। আদালত তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। এবার নিয়ম মেনে ভোট হবে।” অন্যদিকে, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চঞ্চল খাঁড়া কিছুটা নতিস্বীকারের সুরেই জানিয়েছেন, “আদালতের নির্দেশ শিরোধার্য। দল যেভাবে নির্দেশ দেবে, আমি সেভাবেই কাজ করব।” এই রায়ের ফলে মেদিনীপুরের রাজনীতিতে এখন তমলুক পুরসভার ভবিষ্যৎ নিয়ে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।