বিপদের মুখে ৫ কোটি মানুষ, জেনেনিন আরাবল্লী ধ্বংস হলে ঠিক কী কী ঘটবে?

ভারতের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন পর্বতমালা আরাবল্লী আজ এক ভয়াবহ অস্তিত্ব সংকটে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় এই বিতর্ককে উসকে দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—কেবল ১০০ মিটারের বেশি উঁচু পাহাড়গুলোকেই ‘আরাবল্লী’ হিসেবে গণ্য করা হবে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, এর ফলে পর্বতমালার ৯০ শতাংশ পাহাড়ই আইনি সুরক্ষা হারিয়ে মাফিয়া ও নগরায়নের কবলে পড়বে।

প্রায় ৬৭০ কিমি দীর্ঘ এই পর্বতমালা কেবল উত্তর ভারতকে থরের মরুভূমি হওয়া থেকে রক্ষা করে না, বরং দিল্লি ও রাজস্থানের বৃষ্টিপাতও নিয়ন্ত্রণ করে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, আরাবল্লী না থাকলে দিল্লিতে বৃষ্টি ২০% কমে যাবে এবং উত্তর ভারত ১০-২০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ জলবায়ু সংকটে পড়বে। প্রায় ২৫০ কোটি বছরের পুরনো এই পর্বতমালা ৫ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস। অবৈধ খনন ও পাহাড় কাটার ফলে আজ সেখানকার ৩০০ প্রজাতির পাখি এবং লেপার্ড-ভাল্লুকের মতো বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল ধ্বংসের মুখে।

আরাবল্লীর ২৯টি জেলায় বিস্তৃত ৪টি রাজ্যের বাস্তুতন্ত্র আজ বিপন্ন। যদি ১০০ মিটারের নিচের পাহাড়গুলো কেটে ফেলা হয়, তবে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নিচে নেমে যাবে এবং ধুলো ঝড়ে ঢেকে যাবে শহরগুলো। খনি ও পর্যটন থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় হলেও, প্রকৃতির এই অপূরণীয় ক্ষতি কি রুখতে পারবে কেন্দ্র? পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের ব্যাখ্যা সত্ত্বেও কাটছে না উদ্বেগের মেঘ।