নির্বাচনী বন্ড বন্ধ হলেও বিজেপির জয়জয়কার! ১ বছরে চাঁদা এল ৬,০০০ কোটির বেশি

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে দিলেও, রাজনৈতিক দলগুলির কোষাগারে অর্থের টান পড়েনি। ভারতের নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া নতুন তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৬,০০০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান পেয়েছে। যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ছিল প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে বিজেপির আয় বেড়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ভাঁড়ার অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে কংগ্রেসের তহবিলে এসেছে মাত্র ৫২২ কোটি টাকা, যা গত বছরের (১,১৩০ কোটি) তুলনায় অর্ধেকেরও কম। হিসেব অনুযায়ী, অনুদানের নিরিখে বিজেপির আয় কংগ্রেসের চেয়ে ১২ গুণ বেশি।
নির্বাচনী ট্রাস্টের ভূমিকা:
বন্ড বন্ধ হওয়ার পর কর্পোরেট সংস্থাগুলি এখন ‘ইলেকটোরাল ট্রাস্ট’ বা নির্বাচনী ট্রাস্টের মাধ্যমে অনুদান দিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ট্রাস্টের অনুদানের খতিয়ান নিচে দেওয়া হলো:
| নির্বাচনী ট্রাস্টের নাম | বিজেপির প্রাপ্তি (কোটি টাকা) | কংগ্রেসের প্রাপ্তি (কোটি টাকা) | কার নিয়ন্ত্রণাধীন |
| প্রুডেন্ট ট্রাস্ট | ২,১৮১ | ২১৬ | ভারতী এয়ারটেল, জিন্দাল স্টিল ইত্যাদি |
| প্রগ্রেসিভ ট্রাস্ট | ৭৫৭.৬ | ৭৭.৩ | টাটা গ্রুপ |
| এবি জেনারেল ট্রাস্ট | ৬০৬ | ১৫ | আদিত্য বিড়লা গ্রুপ |
| নিউ ডেমোক্র্যাটিক ট্রাস্ট | ১৫০ | ৫ | মাহিন্দ্রা গ্রুপ |
তহবিল বৃদ্ধির সময়কাল:
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, এই বিপুল অনুদানের সিংহভাগই জমা পড়েছে ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে, অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ও চলাকালীন সময়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলি রাজনৈতিক স্বচ্ছতার চেয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে এই অনুদানের বন্টনে।