ভালোবাসার মর্মান্তিক পরিণতি! দলিত যুবককে বিয়ে করায় ১৯ বছরের তরুণীকে পিষে মারল উচ্চবর্ণের বাবা

ফের শিরোনামে ‘অনার কিলিং’। ভিন্ন জাতে বিয়ে করার অপরাধে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিজের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করল বাবা ও আত্মীয়রা। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হুব্বালি তালুকের ইনামভীরাপুর গ্রামে। নিহত তরুণীর নাম মান্য পাতিল (১৯)। এই ঘটনায় তরুণীর বাবা বীরানাগৌড়া পাতিল-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, উচ্চবর্ণের মান্য পাতিল ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন গ্রামেরই দলিত যুবক বিবেকানন্দ দোদ্দামণিকে। পরিবারের অমতে গত মে মাসে পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁদের বিয়ে হয়। প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে ১০০ কিলোমিটার দূরে থাকলেও, গত ৮ ডিসেম্বর তাঁরা হুব্বালিতে ফেরেন। রবিবার সন্ধ্যায় অতর্কিতে বিবেকানন্দের বাড়িতে চড়াও হয় মান্যর বাবা ও তাঁর আত্মীয়রা। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মান্যর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে মৃত্যু হয় মান্যর। ধরওয়াদের পুলিশ সুপার গুঞ্জন আর্য জানিয়েছেন, “বীরনাগৌড়া, প্রকাশ ও অরুণ নামে তিন অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এটি অনার কিলিংয়ের মামলা বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।” এই ঘটনায় হুব্বালি গ্রামীণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভালোবাসার এমন মর্মান্তিক ও অমানবিক পরিণতিতে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।