বিদায় সিন্ধুঘোষ! ভারতীয় নৌসেনায় এক ঐতিহাসিক যুগের অবসান, কাঁপছে চিন-পাকিস্তান?

ভারতীয় নৌবাহিনীর ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের অবসান ঘটল। দীর্ঘদিনের অতন্দ্র প্রহরী, রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি সাবমেরিন INS সিন্ধুঘোষ-কে সসম্মানে বিদায় জানাল দেশ। তবে এই বিদায় দুর্বলতা নয়, বরং নৌসেনার আধুনিকীকরণের পথে এক বিশাল পদক্ষেপ। বর্তমানে ভারতের হাতে ১৬টি প্রথাগত সাবমেরিন রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি অত্যাধুনিক ফরাসি প্রযুক্তির ‘স্করপিয়ন ক্লাস’ ডুবোজাহাজ।
ভারত এখন কেবল সংখ্যার ওপর নয়, বরং মারণ ক্ষমতার ওপর জোর দিচ্ছে। INS আরিহন্ত এবং INS আরিঘাট-এর মতো পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনগুলি ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। জল, স্থল ও আকাশ—তিন বিভাগ থেকেই পরমাণু হানার ক্ষমতা বা ‘নিউক্লিয়ার ট্রায়াড’ এখন ভারতের হাতের মুঠোয়। আগামী দিনে আরও ঘাতক সাবমেরিন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
চিন ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত এখন AIP (Air Independent Propulsion) প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। জার্মানির সহায়তায় তৈরি হতে চলা এই সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় জলের নিচে থেকে নিঃশব্দে শত্রু নিধন করতে সক্ষম। চিনের কাছে ৬৯টি এবং পাকিস্তানের হাতে ৮টি সাবমেরিন থাকলেও, ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং প্রশিক্ষণ হিন্দ মহাসাগরে ভারতের আধিপত্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।