“আধ ঘণ্টায় ৩০০ টাকা, থানা মেন্টেন”-জেনেনিন ট্রেনের পোস্টার নিয়ে কী বলল পুলিশ?

শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে ফের শিরোনামে অশ্লীল পোস্টার বিতর্ক। তবে এবার সব সীমা ছাড়িয়ে গেল ডাউন মধ্যমগ্রাম–মাঝেরহাট লোকাল। ট্রেনের কামরায় সাঁটানো পোস্টারে ‘বন্ধুত্ব’ বা ‘রঙিন জীবন’-এর আড়ালে এমন কদর্য ও রগরগে অফার দেওয়া হয়েছে, যা দেখে রীতিমতো অস্বস্তিতে যাত্রীরা।

সবচেয়ে বিস্ফোরক বিষয় হলো, ওই পোস্টারে বুক ঠুকে দাবি করা হয়েছে— ‘থানা মেন্টেন করে কাজ করা হয়’। অর্থাৎ, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়েই যে এই অসামাজিক কারবার চলছে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনে। পোস্টারে টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘কাস্টমার সার্ভিস’-এর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বিরাটির অশোকপল্লী পাইক পাড়া এলাকার একটি ঠিকানাও।

এই ঘটনার খবর পৌঁছাতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নিমতা থানার ওসি সঞ্জয় কুণ্ডু জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, শিয়ালদহ RPF জানিয়েছে, এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েনি। পূর্ব রেলের DRO দীপ্তিময় দত্ত কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ট্রেনে পোস্টার লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ। দোষীদের চিহ্নিত করা গেলে জেল ও জরিমানা দুই-ই হবে।” তবে পোস্টারে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওপার থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, বিরাটি স্টেশনে পৌঁছালেই মিলবে গন্তব্যের দিশা। পুলিশের নাম ব্যবহার করে চলা এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, এখন সেটাই দেখার।