“২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ইউনুস সরকারকে!”-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সমাহিত ছাত্রনেতা হাদি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে শনিবার বিকেলে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আছড়ে পড়ল হাজার হাজার মানুষের ঢল। ড্রোনে তোলা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক বিশাল জনসমাগম, যেখানে হাদির ‘শাহাদাত’ বৃথা যেতে না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। হাদির খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে রাজপথ।
ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ: গত ১২ ডিসেম্বর পল্টনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাদির। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা-সহ গোটা বাংলাদেশ জুড়ে তাণ্ডব শুরু হয়। ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো-র দপ্তরে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে ছায়ানটে ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার দিনভর অশান্ত ছিল দেশ।
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা জানাজা: শনিবার হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও ভিড়ের ছবি আকাশপথে ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশেই শায়িত করা হয় হাদিকে।
ইউনুস সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি: হাদির সহকর্মী আবদুল্লাহ আল জাবের মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার না করলে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।