“ভয় পাব না, ঝুঁকবও না”-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ডেইলি স্টারের

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হলো। ঢাকার রাজপথে চলা সহিংসতার আঁচ এবার সরাসরি আছড়ে পড়ল দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র—’প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর অফিসে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া এই নজিরবিহীন হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সংবাদপত্রের সদর দফতর। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আসবাবপত্র, লুট করা হয়েছে কম্পিউটার ও ক্যামেরা।

আগুনের গ্রাসে আটকা ২৮ সাংবাদিক:

হামলাকারীরা ডেইলি স্টারের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দিলে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো ভবন। প্রাণ বাঁচাতে ২৮ জন সাংবাদিক ও কর্মী ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট জাইমা ইসলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্তনাদ করে লেখেন, “আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না।” অভিযোগ উঠেছে, উন্মত্ত জনতা দমকল বাহিনীকে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখেছিল, যার ফলে উদ্ধারকাজ শুরু করতে ভোর হয়ে যায়। ৩৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডেইলি স্টারের প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

মাথা নত না করার অঙ্গীকার:

প্রথম আলোর কারওয়ান বাজার অফিসেও চলে দেড় শতাধিক কম্পিউটার লুট ও অগ্নিসংযোগ। তবে এই বর্বরোচিত হামলার মুখেও দমে যায়নি সংবাদমাধ্যম। ডেইলি স্টার কড়া বার্তায় জানিয়েছে, “আমাদের অফিস পোড়ানো যায়, কিন্তু সংকল্প নয়। আমরা মাথা নত করব না।” শনিবার থেকে ফের প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলো। স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর এই আঘাতকে ‘অন্ধকারতম দিন’ হিসেবে দেখছে বিশ্ব।