“মুখ্যমন্ত্রীর দিকনির্দেশের জয়!” সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উচ্ছ্বসিত ব্রাত্য বসু, স্বস্তিতে হাজার হাজার শিক্ষক

বছরের শেষে বড়সড় স্বস্তি পেলেন পশ্চিমবঙ্গের কয়েক হাজার চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ অগস্ট, ২০২৬ করা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার ভয় আপাতত কাটল, অন্যদিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল রাজ্য সরকারও।

কী ছিল আগের নির্দেশ আর কী বদলাল? সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশে বলা হয়েছিল যে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কিন্তু সময়সীমা ফুরিয়ে আসায় প্রবল উৎকণ্ঠায় ছিলেন শিক্ষকরা।

নতুন নির্দেশ: রাজ্য সরকার ও এসএসসির (SSC) আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত করেছেন।

বেতন ও কাজ: এই বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারবেন এবং নিয়মমতো বেতনও পাবেন।

খুশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু: আদালতের এই রায়ে অত্যন্ত খুশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রশংসা করে জানান:

“সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক দিকনির্দেশের প্রতি আস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এর ফলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে।”

স্বস্তিতে শিক্ষক মহল: নিয়োগ জট আর আইনি লড়াইয়ের মাঝে এই নির্দেশ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের কাছে এক বড় পাওনা। ৩১ ডিসেম্বরের ডেডলাইন সামনে রেখে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা আপাতত ৮ মাসের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় খুশি শিক্ষক সংগঠনগুলোও। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে শেষ করতে পারে কি না, সেদিকেই এখন সবার নজর।