ভোটার তালিকায় আপনার নাম কি সুরক্ষিত? আজ থেকেই সন্দেহভাজন ৩০ লক্ষ বাড়িতে সমন পাঠাচ্ছে কমিশন

১৬ ডিসেম্বর এসআইআরের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জল্পনা ছিল, কবে থেকে শুরু হবে বাড়িতে বাড়িতে সমন পাঠানোর কাজ? অবশেষে আজ, ১৯ ডিসেম্বর থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। নোটিস কেন দেরি হলো? কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইংরেজি বা হিন্দি থেকে স্থানীয় ভাষায় নোটিস অনুবাদ করার জন্যই এই অতিরিক্ত সময় লেগেছে।
কেন আপনাকে ডাকা হতে পারে? (সমন পাওয়ার কারণ): কমিশন সূত্রের খবর, মূলত তিনটি কারণে ভোটারদের শুনানিতে ডাকা হচ্ছে:
২০০২ সালের ম্যাপিং: যদি কোনো ভোটারের নাম বা তাঁর পূর্বপুরুষের (বাবা, মা, ঠাকুরদা, ঠাকুমা) নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না পাওয়া যায়।
প্রজেনি ম্যাপিং (Progeny Mapping): যদি কোনো পরিবারের সদস্যদের বংশলতিকার তথ্যে গরমিল লক্ষ্য করা যায়।
বয়স নিয়ে সংশয়: ভোটারের নিজের বয়স বা তাঁর সঙ্গে থাকা আত্মীয়ের বয়সের তথ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা:
নোটিস পাঠানো শুরু: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫।
শুনানি শুরু: নোটিস পাওয়ার ৭ দিন পর থেকে (সম্ভাব্য ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে)।
লক্ষ্য ও ফলাফল: কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটারকে প্রাথমিক পর্যায়ে ডাকা হতে পারে। তবে সন্দেহের তালিকায় থাকা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ! শুনানিতে সঠিক ও বৈধ নথি (যেমন: বার্থ সার্টিফিকেট, পুরনো ভোটার লিস্টের রেকর্ড ইত্যাদি) দাখিল করতে না পারলে বা কমিশন সন্তুষ্ট না হলে ভোটার তালিকা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম চিরতরে বাদ যেতে পারে।
তাই হাতে সময় থাকতে পুরনো নথিগুলি গুছিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।