মহুয়া মৈত্রের বড় জয়! লোকপালের নির্দেশকে ‘ভুল’ বলে খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট, স্বস্তিতে তৃণমূল সাংসদ

‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ (Cash-for-Query) মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট লোকপাল আদালতের দেওয়া একটি নির্দেশকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করে তা বাতিল করে দিয়েছে। এর ফলে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত থমকে গেল।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও রায়: এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথ শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতের লোকপাল সংশ্লিষ্ট আইনের বিধানগুলি বুঝতে ভুল করেছেন। হাইকোর্ট জানিয়েছে:
পুনর্বিবেচনার নির্দেশ: লোকপালকে আগামী এক মাসের মধ্যে মহুয়ার বিরুদ্ধে চলা এই মামলাটি নতুন করে বিবেচনা করতে হবে এবং সঠিক আইনি ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।
নির্দেশ বাতিল: এর আগে গত ১২ নভেম্বর লোকপাল আদালত সিবিআই-কে যে চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল, সেই নির্দেশটি এদিন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলার প্রেক্ষাপট: মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী নিধেশ গুপ্ত আদালতে সওয়াল করেছিলেন যে, লোকপাল আদালত ২০১৩ সালের লোকপাল আইনের ধারা ২০(৭) এবং ২৩(১) প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইনি ত্রুটি করেছে। লোকপাল নির্দেশ দিয়েছিল যে, ৪ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-কে চার্জশিট জমা দিতে হবে এবং তার প্রতিলিপি লোকপাল দফতরে পাঠাতে হবে। মহুয়া মৈত্র এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ২১ নভেম্বর শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল, যা আজ ঘোষণা করা হলো।
সাংসদের প্রতিক্রিয়া: এই রায়ের ফলে আপাতত আইনি লড়াইয়ে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেলেন মহুয়া মৈত্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, শীতকালীন অধিবেশনে এই রায় মহুয়া এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, লোকপাল আদালত এখন পুনরায় কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।