“ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটারি নয়!” মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে লাখ লাখ সরকারি কর্মী

বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন আর আইনি লড়াইয়ের ইতিহাসে আজ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। একদিকে যখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য সেই আগুবে ঘি ঢেলে দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ও বিতর্কের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিজনেস কনক্লেভের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটারি (বাধ্যতামূলক) নয়। তবুও আমরা প্রতি বছর ১৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ পালটা তোপ দেগে বলেন, “ডিএ কোনো দয়ার দান নয়, এটি সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার। সারা দেশে একটি নির্দিষ্ট ফর্মুলা মেনেই ডিএ দেওয়া হয়। যদি এটি বাধ্যতামূলক নাই হয়, তবে সরকার ১৮ শতাংশ ডিএ দিচ্ছে কেন?”

সুপ্রিম কোর্টে অনিশ্চয়তা ও শীতকালীন ছুটি আজ ১৯শে ডিসেম্বর। আইনি পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বছরের জন্য ডিএ মামলার রায় শোনার আজই সম্ভবত শেষ সুযোগ। কারণ:

শীতকালীন ছুটি: ২২শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি থাকবে।

রিওপেনিং: ছুটি কাটিয়ে আগামী ৫ই জানুয়ারি আদালত পুনরায় খুলবে।

কজলিস্টের অভাব: সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল বেঞ্চের আজকের কার্য তালিকায় (Cause List) এই মামলার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

৪০ শতাংশের লড়াই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, এখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীদের ডিএ-র ফারাক প্রায় ৪০ শতাংশ। এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া আদায়ের লড়াই থেকে তাঁরা সরবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ভাস্কর ঘোষ। আজ যদি সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনো স্বস্তির খবর না আসে, তবে ২০২৬-এর শুরুতে নতুন করে আইনি ও রাজপথের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্মী সংগঠনগুলি।