শীতের দুপুরের মহৌষধ ‘কড়াইশুঁটির খোসা বাটা’! একবার খেলে মাছ-মাংসও হার মানবে, রইল সহজ গোপন রেসিপি

শীতকাল মানেই বাজারে টাটকা কড়াইশুঁটির মেলা। কচুরি হোক বা আলুর দম—কড়াইশুঁটি ছাড়া যেন জমানো দায়। কিন্তু কড়াইশুঁটি ছাড়ানোর পর ঝুড়ি ভর্তি খোসাগুলো কি ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছেন? তাহলে জানলে অবাক হবেন, যে খোসা আপনি ফেলছেন তা আসলে ভিটামিন এ, কে, বি-৬, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের খনি!

স্বাদ আর স্বাস্থ্যকে এক সুতোয় বাঁধতে আজই ট্রাই করুন ‘কড়াইশুঁটির খোসা বাটা’। রইল ধাপে ধাপে তৈরির পদ্ধতি:

উপকরণ:
কড়াইশুঁটির কচি খোসা (ভেতরের শক্ত পর্দাটা ছাড়িয়ে নেওয়া)

সর্ষে ও পোস্ত

কাঁচালঙ্কা ও কালোজিরে

লাল লঙ্কার গুঁড়ো ও হলুদ

সর্ষের তেল, নুন ও চিনি

কুচানো ধনেপাতা

তৈরির পদ্ধতি:
১. প্রস্তুতি: প্রথমে সর্ষে, পোস্ত এবং কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে মিহি করে বেটে নিন। কড়াইশুঁটির খোসাগুলোকেও ধুয়ে ভালো করে পেস্ট করে রাখুন। ২. ফোরন: কড়াইতে বেশ কিছুটা খাঁটি সর্ষের তেল গরম করে তাতে কালোজিরে এবং কাঁচালঙ্কা ফোরন দিন। ৩. কষানো: এবার কড়াইশুঁটির খোসা বাটা দিয়ে নুন ও হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে কিছু ক্ষণ সেদ্ধ হতে দিন। ৪. মশলা যোগ: খোসার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে বেটে রাখা সর্ষে-পোস্ত এবং সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো দিন। স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে অল্প চিনি যোগ করুন। ৫. ফিনিশিং টাচ: রান্নার শেষে উপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেল এবং কুচানো ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। কড়াইয়ের গা থেকে তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন।

গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে এই খোসা বাটা খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে অনেক দিন। অপচয় রোধ করার এর চেয়ে সুস্বাদু উপায় আর কী-ই বা হতে পারে!