বাংলাদেশের ময়মনসিংহে মধ্যযুগীয় বর্বরতা! হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিল উন্মত্ত জনতা, আগুন ওপার বাংলায়

বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মাঝে এবার এক শিউরে ওঠা নৃশংসতার সাক্ষী থাকল ময়মনসিংহের ভালুকা। বৃহস্পতিবার রাতে দিপু চন্দ্র দাশ নামে এক হিন্দু যুবককে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল উন্মত্ত জনতা। ওপার বাংলায় জুলাই আন্দোলনের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে, ঠিক তখনই এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন খাড়া করে দিল।

নৃশংসতার চরম সীমা: স্থানীয় সূত্রে খবর, দিপু চন্দ্র দাশ পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার জেরে রাত ৯টা নাগাদ একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরে। নির্মমভাবে মারধর করার পর তাঁর প্রাণহীন দেহ একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে সব শেষ।

ভারতীয় রাজনীতিতে তোলপাড়: নিশানায় মমতা এই ঘটনার খবর সীমান্তে পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইসলামিক চরমপন্থাকে নিয়ন্ত্রণ না করলে কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।”

একইসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের ভবিষ্যতের জন্য যে পথ দেখাচ্ছেন, সেখানে হিন্দুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে উঠছে। ইতিহাস বলছে, তোষণ ও আপিলের রাজনীতি ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।”

উদ্বেগে আন্তর্জাতিক মহল: বাংলাদেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও নজরে এসেছে। ওপার বাংলার সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের খোঁজ চলছে এবং অভিযোগ দায়ের হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।