তৃণমূলের পাল্লায় ৮৭% মুসলিম ভোট, কিন্তু হিন্দুদের রায় কী? ২০২৬-এর আগে বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর ভবিষ্যদ্বাণীতে কাঁপছে বাংলা

২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন কি স্রেফ উন্নয়নের নিরিখে হবে? নাকি বাংলা আবারও দেখবে তীব্র মেরুকরণের রাজনীতি? প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনার আগুন উসকে দিয়েছে। তাঁর মতে, আগামী নির্বাচনে হিন্দু এবং মুসলিম—এই দুই সম্প্রদায়ের ভোটিং প্যাটার্নই ভাগ্য নির্ধারণ করবে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।
তৃণমূলের বড় শক্তি মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক: বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসের বড় জয়ের নেপথ্যে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের একচেটিয়া সমর্থন। তাঁর দাবি, “তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৮৭ শতাংশ মুসলিম ভোটারের সমর্থন পেয়েছিল।” কিন্তু হিন্দুদের ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল এখনও সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি যা বিজেপি ২০২১ বা ২০২৪-এর নির্বাচনে করে দেখিয়েছিল। তাঁর মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সমর্থন এখনও বিজেপির বড় পুঁজি।
মতুয়া ভোট ও মোদীর সফর: আগামী ২০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় আসছেন। বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর মতে, এই সফর বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে তিনি সতর্কবাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি নতুন করে কোনও বড় আশ্বাস দিতে না পারেন, তবে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে একটা বড় চিড় বিজেপির জন্য অপেক্ষা করছে।”
২০২৬-এর রূপরেখা: রাজনৈতিক মহলের মতে, বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর এই পর্যবেক্ষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে:
তৃণমূল তাদের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া থাকবে।
বিজেপি চেষ্টা করবে ২০২৪-এর মতো হিন্দু ভোট নিজেদের দিকে সংহত করতে।
মতুয়াদের ক্ষোভ প্রশমিত করা বিজেপির জন্য ২০২৬-এর প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
বাংলার ভোট সমীকরণে এই হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণ শেষ পর্যন্ত কার ঘরে লক্ষ্মী লাভ করাবে, তা নিয়ে এখন থেকেই চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।