যুদ্ধের আগেই হেরে যাবে পাকিস্তান! উপত্যকার রেলপথে পৌঁছাল ঘাতক মিসাইল ও ট্যাঙ্ক, ভারতীয় সেনার শক্তিতে কাঁপছে সীমান্ত

ভারতীয় সেনাবাহিনীর রণকৌশলে এক ঐতিহাসিক মোড়! এতদিন যে দুর্গম পাহাড় ও খাড়া চড়াই ছিল সীমান্ত রক্ষার চ্যালেঞ্জ, এখন সেই পথেই দাপিয়ে বেড়াবে ভারতীয় ট্যাঙ্ক ও ভারী কামান। সম্প্রতি কাশ্মীরে নবনির্মিত রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও সুউচ্চ সেতুর ওপর দিয়ে সফলভাবে ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি গান এবং ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকেল (IFV) পরিবহন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল ভারত।

কেন এই পদক্ষেপ গেম-চেঞ্জার? এতদিন পর্যন্ত কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় ভারী যুদ্ধসরঞ্জাম পাঠাতে একমাত্র ভরসা ছিল পাহাড়ি সড়ক। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়া, ধস নামা কিংবা শত্রুপক্ষের নজরদারির কারণে সেই পথ ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখন রেলপথ চালু হওয়ায় সেই সীমাবদ্ধতা চিরতরে মুছে গেল।

দ্রুত মোতায়েন: অত্যন্ত কম সময়ে বিশাল সংখ্যক সৈন্য ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র ফ্রন্টলাইনে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

নির্ভরযোগ্যতা: সড়কপথের তুলনায় রেলপথ অনেক বেশি নিরাপদ এবং আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল নয়।

লজিস্টিক শক্তি: বিশাল ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে একের পর এক ট্যাঙ্ক সাজিয়ে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে পৌঁছে দিতে পারবে ভারত।

পিছিয়ে পড়ল পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভান্টেজ ভারতকে যুদ্ধের ময়দানে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখনও এই অঞ্চলে মূলত সড়কনির্ভর লজিস্টিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ, সীমান্ত সংঘর্ষের সময় ভারতীয় সেনা যে গতিতে অস্ত্রশস্ত্র সরাতে পারবে, পাকিস্তান তার ধারেপাশেও নেই।

জঙ্গিদের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ ভারতের এই নতুন পরিকাঠামোয় সন্ত্রাসবাদীদের পালানোর পথও একে একে বন্ধ হচ্ছে। যে সুড়ঙ্গ বা পাহাড়ের আড়ালে এতদিন জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকত, এখন সেখানে নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যাবে সেনার সাঁজোয়া গাড়ি। যুদ্ধের প্রয়োজন নেই, ভারতের এই বিশাল প্রস্তুতি দেখেই কার্যত পিছু হটতে বাধ্য হবে পাকিস্তান।

উত্তুঙ্গ পাহাড়ের চূড়ায় ট্রেনের হুইসেল এখন কেবল একটি সাধারণ শব্দ নয়, বরং শত্রু শিবিরের জন্য এটি এক চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি।