বড়দিনের আগেই কি শীতের বিদায়? ঝঞ্ঝার চক্রব্যূহে আটকা উত্তুরে হাওয়া, বঙ্গে কুয়াশার দাপট নিয়ে বড় আপডেট!

ক্যালেন্ডারের পাতায় ডিসেম্বর অর্ধেক পার, কিন্তু উধাও সেই পরিচিত হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। উত্তুরে হাওয়ার পথে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক ঝঞ্ঝা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী সাতদিন দক্ষিণবঙ্গে শীতের বিশেষ প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ফলে আসন্ন বড়দিনের উৎসব যে খুব একটা জাঁকিয়ে ঠান্ডা মাখা হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট।
কেন এই অকাল বসন্তের আমেজ? আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্তমানে ঝঞ্ঝার ‘চক্রব্যূহে’ আটকা পড়েছে বাংলা। অসম ও জম্মু-কাশ্মীরের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে, যার সাথে দোসর হয়েছে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর ফলে উত্তুরে হাওয়া রুদ্ধ হয়ে পূবালি বাতাসের দাপট বেড়েছে। মেঘের উপস্থিতির কারণে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে পারছে না, যার জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ওপরেই থাকছে।
দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া পরিস্থিতি:
দক্ষিণবঙ্গ: কলকাতার তাপমাত্রা বর্তমানে ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বৃহস্পতিবার শ্রীনিকেতন (১২.০৪° সেলসিয়াস) দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান হলেও সামগ্রিকভাবে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার দেখা নেই। বরং ভোরবেলা ও রাতে কুয়াশার দাপট বেশি থাকছে।
উত্তরবঙ্গ: দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গের ছবিটা বেশ আলাদা। পাহাড়ে ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত। দার্জিলিং ৫.০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিয়ে রাজ্যের শীতলতম স্থান। সমতলের জেলাগুলোর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা ও আগামী পূর্বাভাস: আপাতত রাজ্যজুড়ে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী এক সপ্তাহ তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও ভোরের দিকে কুয়াশা থাকবে। অর্থাৎ, শীতের আমেজ থাকলেও প্রকৃত ‘শীত’ এখনই ফিরছে না বঙ্গজীবনে।
একনজরে আজকের তাপমাত্রা: কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় সকালের দিকে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে।