ডিম প্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! ব্র্যান্ডেড ডিমে মিলল ক্যানসারের বিষ? দেশজুড়ে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ FSSAI-এর

“সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে”—জনপ্রিয় এই প্রবাদটি এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রোটিন ও ভিটামিনের ভাণ্ডার হিসেবে আমরা যে ডিমের ওপর ভরসা করি, সেই ডিমের গুণমান নিয়েই এবার বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান কর্তৃপক্ষ (FSSAI)। দেশজুড়ে নামী ব্র্যান্ডের ডিমের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে এক মারাত্মক উদ্বেগের কারণে।
কেন এই কড়া পদক্ষেপ? সম্প্রতি একটি অনলাইন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাজারে বিক্রি হওয়া অনেক ব্র্যান্ডেড ডিমে ক্ষতিকারক ‘নাইট্রোফুরান’ (Nitrofuran) এর অস্তিত্ব রয়েছে। এটি এমন এক ধরণের অ্যান্টি-বায়োটিক, যা খাদ্য উৎপাদনকারী প্রাণীদের ওপর প্রয়োগ করা আইনত নিষিদ্ধ। অভিযোগ উঠেছে, হাঁস-মুরগি পালনে এই নিষিদ্ধ ওষুধ অবৈধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে ডিমের ভেতরে।
FSSAI-এর জরুরি নির্দেশ: বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেছে খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ। সোমবারই সারা দেশের আঞ্চলিক অফিসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্র্যান্ডেড এবং লোকাল—উভয় ধরণের ডিমের নমুনা সংগ্রহ করে ১০টি স্বীকৃত ল্যাবে পাঠাতে। বিশেষ করে নাইট্রোফুরানের উপস্থিতির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের কড়া হুঁশিয়ারি: হতে পারে ক্যানসার! স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা কোনো সাধারণ বিষয় নয়। জনপ্রিয় চিকিৎসক ড. জেনিথ লোভানশি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে, ডিমে এই রাসায়নিকের উপস্থিতি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
নাইট্রোফুরান রান্নার তাপেও নষ্ট হয় না।
এই দূষিত ডিম দীর্ঘকাল খেলে জেনেটিক ক্ষতি (Genetic Damage) এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এর প্রভাবে লিভার ও কিডনি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কোম্পানির সাফাই এবং আগামী রিপোর্ট: বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই ‘ইগোজ’ (Eggoz)-এর মতো বড় ডিম উৎপাদনকারী সংস্থা তাদের পণ্য নিরাপদ বলে দাবি করেছে। কোম্পানিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, আগামী ২৫শে ডিসেম্বর ল্যাব পরীক্ষার লেটেস্ট রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আপনার করণীয়: যতক্ষণ না ল্যাব রিপোর্ট সামনে আসছে, ডিম কেনার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন। নামী ব্র্যান্ড দেখে অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে সরকারি রিপোর্টের দিকে নজর রাখুন। কোনো অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে ডিম খাওয়া বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।