মহানন্দা থেকে জল যাবে চাষের জমিতে! মালদহের কৃষকদের জন্য বাম্পার উপহার, এবার সেচ হবে সোলার পাওয়ারে।

সেচ সমস্যা মেটাতে এবার আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরল জেলা প্রশাসন। উঁচু কৃষি জমিগুলোতেও এবার সহজে পৌঁছে যাবে জল। মালদহের কৃষকদের দীর্ঘদিনের জলসংকট দূর করতে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে জেলা জলসম্পদ ও সেচ দফতর। নদীর জলকে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে জমিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলাজুড়ে শুরু হচ্ছে রিভার লিফট ইরিগেশন বা ‘আর.এল.আই’ (RLI) প্রকল্প।

সোলার প্যানেলে চলবে পাম্প: এই প্রকল্পের বিশেষত্ব হলো এর আধুনিক যান্ত্রিক পরিষেবা। নদী থেকে জল তোলার জন্য মাঠে বসানো হবে শক্তিশালী মোটর। আর সেই মোটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ মিলবে সোলার প্যানেল থেকে। অর্থাৎ নামমাত্র খরচে সারা বছর জল পাবেন চাষিরা। জমির চারপাশ দিয়ে পাইপলাইনের জাল বিছিয়ে দেওয়া হবে যাতে কোনো জমিই জল থেকে বঞ্চিত না হয়।

চাঁচলে খুশির হাওয়া: এদিন চাঁচলের মহানন্দপুর, ভগবানপুর, খরবা ও মতিহারপুরের বিস্তীর্ণ কৃষি জমি পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ এবং আধিকারিকরা। কৃষক শরিফুদ্দিন আহমদ জানান, “ভুট্টা, পাট ও ধান চাষের জন্য আমরা জলের সংকটে ভুগতাম। ১০০ বিঘার বেশি জমিতে এবার জল পৌঁছাবে শুনলে বুকটা জুড়িয়ে যায়।”

প্রশাসনের তৎপরতা: মালদহ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ১৫০ বিঘা জমির জন্য কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ১০০ বিঘা জমির জন্য নতুন বরাদ্দ করা হয়েছে। মহানন্দা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে এই প্রকল্প চাষাবাদের ভোল বদলে দেবে।

গঙ্গা, মহানন্দা, কালিন্দ্রি ও টাঙ্গন বিধৌত মালদহ জেলায় নদীর অভাব নেই। তাই নদীমাতৃক এই জনপদে সেচের এই আধুনিকীকরণ আগামী দিনে কৃষকদের লক্ষ্মীলাভে বড় ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।