“দাদার কাজ করে দিয়েছি, বোনের কাজ না করলে…” প্রিয়ঙ্কাকে দেখে রসিকতা গড়করির! মন্ত্রীর ঘরে খানা-পিনায় জমজমাট আড্ডা।

সংসদের অধিবেশন মানেই যখন শাসক-বিরোধী চড়া সুর আর বাগবিতণ্ডা, ঠিক তখনই এক চিলতে টাটকা বাতাসের মতো ধরা দিল অন্য এক ছবি। বৃহস্পতিবার লোকসভার কাজের ফাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির ঘরে পৌঁছে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। লক্ষ্য ছিল কেরলের রাস্তা নিয়ে দরবার, কিন্তু সেই আলোচনা গড়াল হাসি-মশকরা আর কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ায়।

দাদার কাজ হয়েছে, বোনের কেন নয়? কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্রের ৬টি রাস্তার দ্রুত সংস্কার নিয়ে মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। আলাপচারিতার মাঝেই গড়করি হেসে প্রিয়ঙ্কাকে মনে করিয়ে দেন কয়েকদিন আগেই তাঁর দাদা রাহুল গান্ধী এসেছিলেন রায়বরেলির রাস্তার সমস্যা নিয়ে। প্রিয়ঙ্কাকে ঠাট্টা করে গড়করি বলেন, “ভাই কা কাম কর দিয়া, বহেন কা নেহি করুঙ্গা তো আপ বোলেঙ্গে কি নেহি কিয়া” (ভাইয়ের কাজ করে দিয়েছি, বোনের কাজ না করলে বলবেন যে করিনি)। গড়করির এই রসবোধে ঘরে হাসির রোল ওঠে।

ইউটিউব দেখে রান্না ও গড়করির আপ্যায়ন: খালি হাতে বা শুধু আশ্বাসে প্রিয়ঙ্কাকে ফেরাননি বিজেপি-র এই প্রভাবশালী মন্ত্রী। রাজনৈতিক পরিচয় সরিয়ে রেখে তিনি এদিন প্রিয়ঙ্কার সামনে তুলে ধরেন নিজের হাতের রান্না। জানা গিয়েছে, ইউটিউব ভিডিও দেখে একটি বিশেষ ভাতের পদ রান্না করেছিলেন গড়করি। সেই রাইস বল এবং চাটনি প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর সাথে থাকা দীপেন্দর সিং হুডাকে হাসিমুখে খেতে দেন তিনি। বিপক্ষ নেত্রীর মুখেও দেখা যায় তৃপ্তির হাসি।

কেরলের ভোট ও আত্মবিশ্বাস: খাওয়াদাওয়া ও হাসাহাসির ফাঁকেও রাজনীতির লড়াই ভুলে যাননি প্রিয়ঙ্কা। কেরলের বাম সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন, রাজ্যের উন্নয়নের সব প্রস্তাব বামফ্রন্ট সরকার বাক্সবন্দি করে রেখেছে। আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলেই সেই কাজগুলো দ্রুত করা হবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।

রাজনীতিতে মতাদর্শের লড়াই থাকবেই, কিন্তু বিকেলের এই চা-চক্র আর রসিকতা প্রমাণ করল যে গণতন্ত্রে সৌজন্যের জায়গা আজও অমলিন।